ম’হামা’রি করো’নাভাইরা’সের শুরু থেকেই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর করো’না সং’ক্র’মণ কমলেও এখনো পর্যন্ত খোলা হয়নি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় অনেকটা বসে বসেই বেতন নিচ্ছেন শিক্ষকরা। আর এ বেতন নেওয়া হালাল মনে করছেন না জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান।
সোমবার (২৪ মে) অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, বসিয়ে বসিয়ে লাখ লাখ শিক্ষককে প্রতি মাসে বেতন দেওয়া হচ্ছে, এতে রাষ্ট্রের অপচয় হচ্ছে।
বিনিময়ে কোনো আউটপুট নেই। বেতন তোলার সময় আমার লজ্জা লাগে। বেতন নেওয়ার সময় মনে হয় হালাল হচ্ছে কিনা। উপাচার্য আরও বলেন, খাবো, ঘুরবো এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ নয়। এজন্য সরকার আমাদের নিয়োগ দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বক্ষণিক থাকতে হয় আমাদের। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যায়, অধিকাংশ উপাচার্য সার্বক্ষণিক থাকেন না।
কিন্তু আমি থাকি। এই করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে ফুল দিয়েছি, প্রোগ্রাম করেছি, সচিবালয়ে গিয়েছি। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের আমি সুপারিশ জানিয়েছি। প্রথমতো, স্থগিত হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলো চালু করতে হবে, ক্যাম্পাসে এসে যাতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারে।
এতে শিক্ষার্থীরা শান্তি পাবে, ভালো লাগবে। এরপর শ্রেণিকক্ষে ফেরা ও হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসতে হবে। অল্প সময়ের মধ্যে এ বিষয়টির সমাধান হবে বলে আশা রাখি এবং আপনারা অপেক্ষা করেন, বলেন তিনি। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চির উন্নত মম শির শহিদ মিনারের সামনে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।